নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার দুটি সড়কেই খানাখন্দ। অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় সড়ক দুটিতে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাঙাচোরা এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীসহ পরিবহন যাত্রীরা। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক দুটিতে খানাখন্দে ভরা থাকলেও মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় অসন্তুষ্ট উপজেলাবাসী।
পাগলাপীর-জলঢাকা মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু পাগলাপীর থেকে বের হয়ে মাগুড়া স্ট্যান্ডে পথে পথে খানাখন্দ। ব্যস্ততম এ সড়কের বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের।
সরেজমিন দেখা যায়, ব্যস্ত সড়কে পিচ-খোয়া উঠে ছোট-বড় অনেক গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব স্থানে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে। যাওয়া সম্ভব না বলে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের মাঝপথে নামিয়ে দিচ্ছেন রিকশাচালকরা। সড়কজুড়ে বড় গর্তে আটকে যাচ্ছে গাড়ি। এ ছাড়া যান চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে ওই পথে চলাচলকারী গাড়ি ও যাত্রীদের।
চালকদের অভিযোগ, এই সড়কে চলাচলকারী গাড়ির আয়ু কমছে। বাস গাড়ীর চালক জাহিদ বলেন, খুবই ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় এ রাস্তায়। অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে যাত্রীরা গালাগাল শুরু করেন। বড় গর্তে প্রায়ই গাড়ি আটকে বন্ধ হয়ে যায়।
কিশোরগঞ্জের ব্যস্ত এলাকা মাগুড়ার প্রধান সড়কটি কাদাপানিতে একাকার। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কের পিচ উঠে নতুন করে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু বড় গর্ত। সেখানেও ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই, তাই সামান্য বৃষ্টিতেও হাটু সমান পানি ওঠে। কয়েক বছর ধরেই চলছে এ অবস্থা। কবে সংস্কার হবে, তা জানা নেই বলেও আক্ষেপ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা মিন্টু বলেন, এই সড়কটি প্রধান সড়ক।পথচারীদের জন্য বিকল্প রাস্তা নেই। হাঁটার জন্য বিকল্প রাস্তা না হোক, অন্তত কাদা ও বড় বড় গর্তের দুর্ভোগ থেকেও যদি মুক্তি পেতাম, তাহলে কষ্ট অনেক কমে যেত।
ব্যবসায়ী হবি বলেন, প্রতিদিন গর্তগুলোতে রিকশাভ্যান উল্টে যায়। এ সড়ক দিয়ে বাস ও ট্রাক চলাচল করে। অনেক সময় মালবোঝাই ট্রাকও খাদে পড়ে যায়। তখন সারাদিনের জন্য যানজট সৃষ্টি হয়।
এক ট্রাক চালক জানান, আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নে যানবাহন চলাচল করে এখান দিয়েই। কিন্তু সড়কটিতে এখন যান চালানোর পরিবেশ নেই। ড্রাইভিং পেশায় আছি বলে বাধ্য হয়ে খানাখন্দ পেরিয়ে বাস-ট্রাক-লরি চালাই চরম ঝুঁকি নিয়ে। গাড়ি উল্টে গিয়ে ছোট কোনো গাড়ি বা পথচারীর ওপর পড়লে আমরাই মার খাই।
এদিকে পারের হাট -ভিন্ন জগৎ- এলাকার রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী। সড়কে ঢুকতেই বড় বড় গর্ত। এই সড়কের অবস্থাও এক কথায় করুণ। এ রাস্তাটি মেরামতের কথা থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো খবর নেই। বর্তমানে কাটাস্থানের পাশাপাশি অসংখ্য গর্তের কারণে পথচারী থেকে রিকশাযাত্রী কিংবা যে কোনো ধরনের গাড়ি চলাচলে ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে থাকে। কয়েকটি স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। কিন্তু মেরামতে কর্তৃপক্ষের নজর নেই।
জাকির নামে এক বাসিন্দা বলেন, এই রাস্তাটি ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত অন্তঃসত্ত্বা নারী এ সড়ক দিয়ে রিকশায় গেলে ভয়ংকর সমস্যায় পড়েন।
অর্ধেক রাস্তায় ফেলা হয়েছে খোয়া, কিন্তু পিচ ঢালাই হয়নি এখনো। এ কারণে দীর্ঘদিন থেকে ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসীসহ সড়ক ব্যবহারকারীরা।
একজন বাস চালক জানান,এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে জীবনের নিরাপত্তা নেই। কখন গাড়ি উল্টো যায়,এর ভয়ে থাকতে হয়। আমাদের দাবি তারাতারি রাস্তাগুলো মেরামত করা হউক।
পথচারীরা বলেন আমাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। দেখার কেউ নেই। কাহাকে বলি আমাদের চলাচলের ভোগান্তির কথা।
সড়কের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এর সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু বলেন, রাস্তাগুলো পিচ উঠে গিয়ে ছোট-বড় অনেক গর্ত তৈরি হয়েছে। চলাচলের চরম অসুবিধা হয়েছে। রাস্তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার জানালে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।