সড়কে নির্মাণাধীন রাস্তার সরঞ্জাম রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। ব্যস্ততম সড়কগুলোতে এমনভাবে নির্মাণাধীন রাস্তার ইট ভেঙে রাখা হচ্ছে যেন দেখে বোঝার উপায় নেই সেগুলো সড়ক নাকি সরঞ্জাম রাখার মাঠ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।
সোমবার নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া – জলঢাকা সড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। অনেকেই উপজেলা হাসপাতালে যাওয়ার জন্যও এ সড়ক ব্যবহার করেন। ওই সড়কের পাশেই রয়েছে বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ সড়কের পাশে ইটের খোয়ার স্তূপ করে রাখা হয়েছে। দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল সড়কের এসব ইট ও খোয়া রাখা হয়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র ইট-খোয়া ফেলে রাখছেন ঠিকাদাররা।
স্থানীয়রা বলছেন, সড়ক দখল করে ইট ভেঙে খোয়া রাখায় চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। এসব কারণে দিন দিন যানজটসহ নানা জনভোগান্তি বেড়েই চলছে। এছাড়া ঘটতে পারে ছোট বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা।
এই সড়কটিকেই উপজেলার প্রাণ বলা হয়।
উপজেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে দিনের পর দিন সড়কের বিভিন্ন এমন ভোগান্তির চিত্র দেখা গেলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ হয় না। যেন দেখার কেউ নেই।
মোটরসাইকেল আরোহী বাবু বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই সড়কের ওপর , ইট ও কংক্রিট রেখে রাস্তার নির্মাণকাজ চলছে। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে। যানজট লেগেই থাকে।
রিকশাচালক জিয়ারুল বলেন, সড়কের দখল করে দিনভর কাজ করছেন রাস্তার ঠিকাদাররা।
শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাই। রাস্তার পাশে ইট, ইটের খোয়া থাকায় পথ চলতে খুব বেগ পেতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা হারুন রশিদ বলেন, ‘এই উপজেলায় চলাচলের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি নজর দেওয়া।’
কয়েকজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দিনের পর দিন সড়কের পাশে এমনকি সড়কের মাঝ বরাবর ইট,খোয়া, বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রেখে রাস্তার নির্মাণকাজ চলছে। এবিষয়টি জনদুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার রুস্তম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘রাস্তার কাজের জন্য মালামাল সড়কের উপরে কিছু রাখা হয়েছিলো। সেগুলো সরে নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, যারা সড়ক দখল করে করে থাকে তাহলে খুব দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।