বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর মৌজায় সরকারি খাসজমি ও পুকুর জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ব্যক্তিমালিকানায় রেকর্ড করে নেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টায় ভবানীপুর বাজার এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শতাধিক এলাকাবাসী অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন মাসুদ রানা, আব্দুস সাত্তার, নুরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আবু হানিফ, মোখলেছার রহমান, মিন্টু রহমান, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল হামিদসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ভবানীপুর মৌজার জলটুঙ্গী এলাকায় অবস্থিত প্রায় ৫১ শতাংশ সরকারি খাসজমি ও একটি সরকারি পুকুর জাল কাগজপত্র তৈরি করে আব্দুর রউফ, আক্কাছ আলী, মহাদেব ও মো. আমির হোসেন নামে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজেদের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন। অথচ এসব জমিতে দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে গরিব মানুষেরা বসবাস করে আসছেন। শুধু তাই নয়, ভবানীপুর বাজারের সরকারি পুকুরের পাড়, পাবলিক টয়লেট ও মন্দির সংলগ্ন রাস্তার ধারের জমিগুলোর মালিকানাও নিজেদের নামে রেকর্ড করেছে তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, এই জালিয়াতি কাজ একটি সুপরিকল্পিত ভূমিদস্যু চক্রের অংশ। দুর্নীতিপরায়ণ ভূমি অফিসের কিছু কর্মকর্তার সহায়তায় নকল দলিলের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব জমি রেকর্ড করা হয়েছে।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজারের প্রধান প্রধান রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ভবানীপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সরকারি জমি বেহাতের প্রমাণও পাওয়া গেছে। অবৈধ রেকর্ড বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান রুপালী বাংলাদেশ কে বলেন, সরকারি খাসজমি ও পুকুর ব্যক্তিমালিকানায় রেকর্ড করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ করে থাকলে তদন্তপূর্বক তা বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে।