বগুড়ার শেরপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে গেলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া দহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শেরপুর থানা পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে যায় পুলিশ। এ সময় পরিবারের সদস্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সরাফাত জামান। তার সঙ্গে ছিলেন কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম, মো. নূরনবী ও আইনুল হক। হামলায় তারা সবাই আহত হন এবং তাদের শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৪৮), ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে লিটন (৩৫) ও পুত্রবধূ কামরুন নাহার ওরফে রিমাকে (২৫) আটক করেছে। তারা বর্তমানে থানার হেফাজতে রয়েছেন।
সিরাজুল ইসলামের ভাতিজা মো. রাজু বলেন, “পুলিশ চাচাকে ধরতে এসে তাকে পায়নি। তবে বাড়ির লোকজন হামলা করেছে কি না, তা আমি জানি না। পুলিশ আমার চাচি, চাচাতো ভাই ও তার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে গেছে।”
স্থানীয়রা জানান, সিরাজুল ইসলামের বাড়িটি উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা হওয়ায় ভেতরে কী ঘটেছে, তারা তা নিশ্চিত নন। ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়।
এসআই সরাফাত জামান বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বাড়িটি ঘিরে ফেলি। প্রবেশের সময় হঠাৎ আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা মূল আসামিকে পালাতে সহায়তা করেছে।”
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, “পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটক তিনজনকেই এ মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। হামলায় জড়িত ১০-১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।”